মাইর ডায়াগনস্টিক ক্রাইটেরিয়া আছে। সেই ক্রাইটেরিয়াতে পড়লেই কেবল বলা যাবে যে রোগীর মাইগ্রেন আছে। ছবি: সংগৃহীতগ্রেনে

মাইগ্রেনের চিকিৎসার আগে দেখে নিতে হবে যে আসলেই রোগীর মাইগ্রেন আছে কিনা! বর্তমানে মাইগ্রেনের ডায়াগনস্টিক ক্রাইটেরিয়া আছে। সেই ক্রাইটেরিয়াতে পড়লেই কেবল বলা যাবে যে রোগীর মাইগ্রেন আছে।

সংসারে নানারকম অশান্তি বা মানসিক টানাপোড়েন অনেকেরই  থাকে। বিভিন্ন মানসিক কষ্ট থাকে। তাদের এক ধরনের মাথাব্যথা হয়। সেটাকেই  অনেকে মাইগ্রেন বলে গুলিয়ে  ফেলেন।

অনেকে এমন বিপদের মধ্যে থাকেন যে, সেখান থেকে বের হওয়া তাদের জন্য কঠিন! অনেক ক্ষেত্রে মাথাব্যথাটা খুব বেশি হয় এবং এ রকম অনেক রোগী আমরা পেয়ে থাকি।

মাইগ্রেনের দুই রকম চিকিৎসা আছে। হঠাৎ ব্যথা শুরু হলে এক ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়। বিভিন্ন রকম ব্যথার ওষুধ পাওয়া যায়, সেই  ব্যথার ওষুধ খেলেই এই ব্যথা চলে যায়। ব্যথা উঠলে কোন ওষুধ খাবেন সেটা আপনি একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করে রাখবেন। যখনই ব্যথা উঠবে তখন সে ওষুধটা আপনার খেতে হবে। তবে এই ওষুধগুলো দীর্ঘদিন খাওয়া যায় না। তাতে পেপটিক আলসার, বমি ভাব, বমি ও কিডনির  সমস্যা হতে পারে।

আবার কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো খেয়ে গেলে ব্যথা উঠে না। এগুলোকে আমরা প্রিভেনটিভ ট্রিটমেন্ট বলি। কারো যদি মাসে পাঁচবার বা তার বেশি মাথা ব্যথা হয়, তাহলে আমরা এই চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তবে কোন কোন বইতে এর পার্থক্য হয়ে থাকে। কিছু বইতে বলা হয়েছে, মাসে দুইবার ব্যথা উঠলেই এ ট্রিটমেন্ট দেয়া যেতে পারে।

প্রিভেন্টিভ ট্রিটমেন্টের মধ্যে অনেক ধরনের ওষুধ বাজারে প্রচলিত আছে। কার জন্য কোনটা প্রযোজ্য তা একজন চিকিৎসকই  নির্ধারণ করবেন। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এই ওষুধগুলো সিলেকশন করা হয়। তবে এই ওষুধ শুরু করলে পরের দিনেই যে উপকার পাবেন তা না। অনেক সময় উপকার পেতে দুই থেকে বারো সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এই ওষুধগুলো কীভাবে কাজ করে সেটা নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে। তবে এগুলো কিন্তু ভালো কাজ করে। আমরা অনেক রোগের ক্ষেত্রে সেটা দেখতে পাই। এই ধরনের ওষুধ শতকরা ৫০ থেকে ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আরো নতুন কিছু ট্রিটমেন্ট অপশন আছে।

প্রিভেনটিভ চিকিৎসা সাধারণ ছয় মাস করা হয়। তারপর আস্তে আস্তে সেটা বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে তখন দেখা যায়, ব্যথার তীব্রতা এবং মাত্রা দুইটাই কমে আসে। কিন্তু যদি না কমে, তাহলে ওষুধ অনির্দিষ্টকাল চালিয়ে যেতে হতে পারে।

মাইগ্রেনের খুবই ভালো চিকিৎসা আছে এবং আমাদের অভিজ্ঞতাতে আমরা দেখেছি, কেউ নিয়মিত ওষুধ খেলে তার ব্যথা খুব কম ওঠে। তবে কারো যদি মারাত্মক সাংসারিক অশান্তি থাকে বা অন্য কোনো মানসিক বড় রকম কোন কষ্ট থাকে, তাদের ক্ষেত্রে  চিকিৎসাটা অনেক সময় তেমন একটা ফলপ্রসূ হয় না।

তারপরও চিকিৎসক দেখাবেন এবং হঠাৎ ব্যথা উঠলে যে ওষুধগুলো খাওয়া হয়, সেগুলো বেশিদিন কখনোই খাবেন না। তাতে নানা রকম বিপদ হতে পারে!

এএনএম/

copy

Leave a Comment